বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
রাবি প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘৭ই মার্চের ভাষণ’কে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ ঘোষণা করায় ২৫ নভেম্বর শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাসের মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য সাবাস বাংলাদেশ চত্বর থেকে সকাল ১০টায় র্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই র্যালিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শুরুর আগে সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান বলেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক এবং পরস্পরের পরিপূরক। তাঁর আদর্শ যুগ যুগ ধরে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চেতনাকে লালন করতে অমিত অনুপ্রেরণার অনিঃশেষ উৎস হয়ে থাকবে। জাতির জন্য তাঁর অবদানে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির জনক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে তিনি যে ভাষণ দেন তা শুধু বাঙালি জাতিকেই নয়, বিশ্বের নিপীড়িত, মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতার পথে অনুপ্রাণিত করছে। ইউনেস্কো কর্তৃক সেই ভাষণকে বিশ্ব প্রমাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি প্রদান এর কালজয়ী গুরুত্বকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এসে র্যালি উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহার সমাপনী বক্তৃতার মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। এই আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রাক্তন উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. নূরুল্লাহ্ প্রমুখ অংশ নেন। আনন্দ র্যালিটি সমন্বয় করেন উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস।