সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
পাখির ডানার মত দু’হাত মেলে
ঐ যে দেখ দুরন্ত খোকা ছুঁটে ছুঁটে যায় চলে।
টুঙ্গিপাড়ার মাঠ ঘাট প্রান্তর
ছোট্টখোকার পায় পায় ঘোরে
উদারআকাশ বাউরিবাতাস
ডেকে ডেকে কয়- খোকা আয় খোকা আয়-।
ডাংগুলি, হা-ডু-ডু আর ফুটবল খেলায়
খোকা যে ওঠে মেতে
কেউ না পারে তারে হারাতে
তাল-তমাল আর হিজলের ডালে
পাখ-পাখালি নানা সুর তোলে
দু’কান ভরে মুগ্ধ খোকা পাখির ডাক শোনে
চোখজোড়া তার খুঁজে ফেরে ময়না দোয়েল ছানা।
বোল শেখানো শিস শেখানো ভারি মজার খেলা
এই নিয়ে কেটে যায় খোকার সারা বেলা।
ব্যাকুল কণ্ঠে মা সায়রা ডেকে ডেকে কয়
ওরে খোকা, ঘরে আয়, ঘরে আয়
দামালবাতাস যে বয়
টুঙ্গিপাড়ার ছেলে বুড়োর করলো সে মন জয়
সকলের আপদে বিপদে খোকা যে পাশে রয়
গোলার ধান, চাদর-জামা, বই-খাতা আর
মাথার ছাতা দেয় সে অকাতরে বিলিয়ে
দুঃখি মানুষের দুঃখভার নেয় সে কাঁধে তুলে।
রাজনীতিরপাঠ খোকা যে নেয় টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে
দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে বাঁচাতে।
আন্দোলনে সংগ্রামে খোকা হলেন বাংলার নেতা
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন পূরণে আনলেন স্বাধীনতা
টুঙ্গিপাড়ার ছোট্টখোকা হলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা।
সদ্যমুক্ত স্বাধীন বাংলাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে
পাকিস্তানকে পূনর্বাসন করতে
পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলতে
ক্ষমতার মসনদে বসতে
ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে
আনলো টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে।
টুঙ্গিপাড়ার মাটি কেঁদে কেঁদে কয়
ওরে খোকা আয় আমার বুকে দুঃখি অশ্রু বয়।
ছোট্টখোকা ঘুমিয়ে আছেন টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে
টুঙ্গিপাড়ার মাটি আজ
পরিণত হয়েছে বাঙালির তীর্থভূমিতে।
*অধ্যাপক রাশেদা খালেক, চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী।