শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
হে বৈশাখ হে রুদ্র বৈশাখ
এসো এসো তব জয়ডঙ্কা বাজিয়ে
এসো দৃপ্তপায়ে ভৈরবের বেশে
তোমার তপ্তশ্বাসে দাহনজ্বালে
দাও সকল অশুভশক্তিকে পুড়িয়ে
আনো আলো আনো আলো
ঘুচিয়ে দাও সকল কালো
বাঙালির ঘরে ঘরে সুখে-দুখে
মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালো।
হে বৈশাখ হে রুদ্র বৈশাখ
গাছের পাতা বনের পাখি মাঠের শস্য
ডাকিছে তোমায় আকুল স্বরে ব্যকুল কন্ঠে
তুমি এসো তুমি এসো তপ্তধরণীর বুকে
শান্তির বারতা বয়ে।
হে বৈশাখ হে রুদ্র বৈশাখ
তুমি এসো শক্তির আধার হয়ে
তুমি এসো সৃষ্টির প্রলয় নাচন তুলে
তুমি এসো নব নব রুপে- মুগ্ধ প্রকাশে
তুমি এসো কালবোশেখির বেশে-
এই বাংলার বুকে বাঙালির বিমুগ্ধ চিত্তে।
হে বৈশাখ হে কালবৈশাখ
তোমার প্রবল আবির্ভাবে
গোধুলীর রাঙা আলো হয়ে যায় কালো
পাল্টে যায় রঙের খেলা
আকাশ বাতাস জুড়ে
ইশান কোণে ছাইরঙা মেঘগুলো
ক্রমশঃ দানা বেঁধেশুরু করে দাপাদপি
জলবতি মেঘেরা আলোর নুপুর বাজিয়ে
গুরু গুরু ডাকে দিগ দিগন্ত কাঁপিয়ে
খড় কুটো উড়িয়ে ঘূর্ণিপাকের নাচন তুলে
ফোটায় ফোটায় শান্তির বারি ফেলে বলে,
এই এলাম আমি বাংলার ঘরে ঘরে
পুরাতন বছরের সব আবর্জনা
দিলাম ধুয়ে মুছে
নতুন বছরের স্বপ্ন আর প্রত্যাশা
পূরণের তরে।
লেখক: চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী।