শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
রাবি প্রতিনিধি: রাবি শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। ২৯ মে ২০১৬ রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখমাত্র ইফতে খায়ের আলম তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আটককৃত আব্দুল গাফফার এবং মাহবুবুল আলম দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের ২৩৬ এবং ৪৪২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১৩ মে ২০১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকা থেকে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী রহমত উল্লাহকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ২৯ মে ২০১৬ আটককৃত আব্দুল গাফফার এবং মাহবুবুল আলম রহমত উল্লাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানা গেছে। সেই সূত্র ধরে অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যায় ঘটনায় গাফফার এবং মাহবুবকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাদের সহপাঠীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, রাত দুইটার দিকে মহানগর পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কয়েকজনের একটি দল হবিবুর রহমান হলে যান। প্রথমে ২৩৬ নম্বর কক্ষ থেকে আব্দুল গাফফার ও পরে ৪৪২ নম্বর কক্ষ থেকে মাহবুব আলমকে আটক করে নিয়ে যান। এ সময় তাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে মহানগর পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তবে আটকের কারণ সম্পর্কে তারা আমাদেরকে এখনো কিছুই জানায় নি।’ এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্যাহ বলেন, ‘রাতে হল থেকে দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাকে জানানো হয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোসলেহ্ উদ্দীন বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী আব্দুল গফফার ও মাহবুব নামের দুুই শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের আগামী পহেলা জুন পরীক্ষা আছে। তবে আটকের কারণ জানা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল ২০১৬ নগরীর শালবাগান এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। ১৭ মে ২০১৬ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘এ হত্যার ঘটনায় জেএমবি জড়িত।’ এ হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, এর মধ্যে একজন পুলিশি হেফাজতে মারা গেছে। এক জেএমবি সদস্য খুনের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।